Type Here to Get Search Results !

ISL-এ টানা পাঁচ ম্যাচে হার, মোহনবাগানের কাছে পরাজিত ইস্টবেঙ্গল! বিরক্ত সমর্থকরা



শনিবারের কলকাতা ডার্বিতে মোহনবাগান আবারও ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে। বহু প্রতীক্ষার পরও ইস্টবেঙ্গলের আইএসএলে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জয় অধরাই রয়ে গেল, ন'বারের সাক্ষাতে আটটি হার ও একটি ড্র থেকে গেল তাদের নামের পাশে। এই জয়ের ফলে মোহনবাগান পাঁচ ম্যাচে দশ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএলের পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে, যেখানে পাঁচ ম্যাচের সবক'টিতে হারায় শূন্য পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল শেষেই পড়ে থাকে।


মোহনবাগানের পক্ষে প্রথম গোলটি করেন জেমি ম্যাকলারেন, যিনি মনবীর সিংহের পাস থেকে ৪১ মিনিটে স্কোর করেন। ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগের দুর্বলতা, বিশেষ করে প্রভাত লাকরার পারফরম্যান্স, মোহনবাগানের আক্রমণ সামলাতে ব্যর্থ হয়। লাকরার দিক থেকেই প্রথম গোলটি আসে, যখন মনবীর সিংহ সহজেই তাঁকে পরাস্ত করে। ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণে আরও দুর্বলতা ছিল, বিশেষ করে দুই সাইডব্যাকে— মহম্মদ রাকিপ ও লাকরা— যারা পুরো ম্যাচেই বিশেষ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেননি। ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজ়ো চেয়েছিলেন তাঁর দল পায়ে বল রেখে খেলুক, তবে মোহনবাগান তাদের সেই সুযোগ দেয়নি। ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড়েরা বল পেতে গিয়েই চারদিক থেকে মোহনবাগানের চাপের মুখে পড়েন এবং একাধিক পাস খেলতেও হিমশিম খেতে হয়। মোহনবাগান তুলনায় অনেক সহজেই পাস খেলেছে এবং আক্রমণাত্মক ফুটবল প্রদর্শন করেছে।


দ্বিতীয় গোলটি আসে ম্যাচের শেষ দিকে, যখন অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার দিমিত্রি পেত্রাতোস পেনাল্টি থেকে গোল করেন। বক্সের মধ্যে প্রভসুখন গিল তাঁকে হাত দিয়ে ফেলে দেন, যা থেকে পেনাল্টি দেওয়া হয়। পেত্রাতোসের জোরালো শটে গোলটি নিশ্চিত হয়।ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ছিলেন মাদিহ তালাল, যিনি দলটির আক্রমণ তৈরিতে প্রধান ভূমিকা পালন করেন। তবে তাঁর অবদানও ইস্টবেঙ্গলকে পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি।

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.