ধর্মতলায় অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল বিকেল ৪টা ২৯ মিনিটে নবান্নে পৌঁছায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয় ঠিক ৫টার আগেই। বৈঠকের মূল চমক ছিল "লাইভ স্ট্রিমিং"—যা আগের তিনটি বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার কারণ হলেও এবার সরাসরি সম্প্রচারে বাধা পড়েনি। বৈঠকের শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, উভয় পক্ষই সংকট সমাধানে আন্তরিক এবং সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চায়।বৈঠকে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে, তবে কোনও বিরোধপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিকতার ছোঁয়া এবং ডাক্তারদের সম্মানজনক মনোভাব আলোচনার মধ্যেও স্পষ্ট ছিল। দুই পক্ষই পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সমস্যা সমাধানের দিকে আগ্রহ দেখিয়েছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের অধিকাংশ দাবি নবান্ন মেনে নিতে চলেছে, শুধুমাত্র স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণের দাবি ছাড়া। মুখ্যমন্ত্রী প্রথমেই ডাক্তারদের বলতে দেন এবং ধৈর্যের সাথে তাদের বক্তব্য শোনেন। এরপর সরকারি অবস্থান ব্যাখ্যা করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।বৈঠক শুরু হওয়ার আগে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধির সংখ্যা ১৭ করা হয়, যদিও প্রথমে নবান্ন ১০ জনের প্রতিনিধি চেয়েছিল।বৈঠকটি স্থায়ী হওয়ার কথা ছিল ৪৫ মিনিট, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ২ ঘণ্টা ৮ মিনিট ধরে চলে।
সর্বশেষে, অনশন প্রত্যাহার করা হয়। যদিও ডাক্তাররা প্রশাসনের কিছু ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন, তবু বৈঠকটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয় এবং সমস্যার সমাধানের দিকে এগিয়ে যায়।