সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ অনন্ত মহারাজের সাক্ষাতের ফলে কোচবিহার জেলার রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। এই বৈঠক নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে কোচবিহার জেলার বিজেপির জেলানেতৃত্ব।
লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসনে তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ বর্মা বসুনিয়া বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে পরাজিত করেন। এরপর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি সাংসদ অনন্ত মহারাজের সাক্ষাৎ রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করে। কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে মন্তব্য করেন যে, এই বৈঠকের পরে দলের কর্মীদের নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। কর্মীরা অভিযোগ করছেন যে অনন্ত মহারাজ অন্তর্ঘাতের মাধ্যমে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছেন। কোচবিহারের অনেক বিজেপি নেতা মনে করছেন অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভার সাংসদ করা ভুল ছিল। তাঁরা বলছেন, তিনি কখনও জেলা কার্যালয়ে আসেননি বা দলের জন্য প্রচারে অংশ নেননি। তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায় এবং শীতলখুচির বিধায়ক বরেন বর্মণ আপাতত এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
কোচবিহারের বিজেপির জেলানেতৃত্ব এই বৈঠক নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও বিজেপি সভাপতি সুকুমার রায় মনে করেন, এটি একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় এবং এতে রাজনীতি দেখা উচিত নয়।রাজ্য বিজেপির কিছু নেতার দাবি, অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভা নির্বাচনের প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ছিল, যা রাজ্য বিজেপির অনেক নেতা মেনে নিতে পারেননি। তারা মনে করছেন, অনন্ত মহারাজকে নিয়ে বর্তমান অস্বস্তিকর পরিস্থিতির দায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেই নিতে হবে।